দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বিনামূল্যে ইলেকট্রনিক লার্নিং-এর সুযোগ দিচ্ছে কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট
বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন: পড়ুয়াদের স্বার্থ মাথায় রেখে বহু আগে থেকেই কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট-এর সমগ্র শাখাতেই (কিংস্টন পলিটেকনিক কলেজ, কিংস্টন কলেজ অব সায়েন্স, কিংস্টন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সায়েন্স, কিংস্টন ল কলেজ, কিংস্টন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কিংস্টন মডেল স্কুল, কিংস্টন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) ই-লার্নিং বা ইলেকট্রনিক লার্নিং ব্যবস্থাকে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই দেশ এবং বিদেশের নানা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে যাতে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইউটিউব চ্যানেল, স্লাইডশেয়ার, ব্লগস্ফিয়ার, হোয়্যাটস অ্যাপ, হেল্পলাইন এবং অন্যান্য মিডিয়ার সাহায্যে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা যায়। সমগ্র প্রক্রিয়াটিই পরিচালনা করা হচ্ছে স্কুল এবং কলেজের প্রতিদিনের শিক্ষাসূচী অনুসারে। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কোনওরকম ফাঁক যেমন রাখা হচ্ছে না তেমনি প্রতিটি ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির দিকেও থাকছে সজাগ দৃষ্টি। এমনকী শিক্ষকরাও প্রকৃত শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কোনওরকম আপস করছেন না।
সংস্থার অংশীদারেরাও বাড়িতে থেকে কাজ করার গুরুত্ব বুঝেছেন। একইভাবে বাড়ি থেকে স্কুল এবং কলেজ করার যথার্থতা তারা উপলব্ধি করতে পারছেন।
সমস্তরকম আদর্শবিধি মেনে ফ্যাকাল্টি দ্বারা জুম অ্যাপ, গুগল ক্লাসরুমস এবং পূর্বোল্লিখিত ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংস্থার শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মণিশঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘কোভিড ১৯ এর মতো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে একজন পড়ুয়াও যাতে শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই বিষয়টি কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সদস্য সংস্থার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের নেওয়া প্রতিটি ক্লাস পর্যবেক্ষণ করছেন বিশেষজ্ঞ দল। ছোটখাট সমস্ত খামতিও পূরণ করা হচ্ছে তাঁদের মতামত নিয়ে। ফলে গুণগত দিক থেকে উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া নিয়মিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টার কাছ থেকে ক্লাসগুলি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়াও নেওয়া হচ্ছে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রটিকে করে তোলা হচ্ছে আরও উন্নত। কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট তিপ্ম ভট্টাচার্য্য বলেন, আমরা চাই দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ুক জ্ঞানের আলো। আমাদের লক্ষ্য, এই বিপদের সময়েও শিক্ষার উন্নতিসূচক ঊর্ধ্বগামী করে তোলা! পড়ুয়াদের খুঁটিনাটি চাহিদার বিষয় মাথায় রেখে ধাপে ধাপে ইলেকট্রনিক লার্নিং-এর প্রক্রিয়াটিকে সাজানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। তিনি আরও বলেন, গৃহবন্দী থাকার কারণে সারাদেশের বিপুলসংখ্যক নিরুপায় পড়ুয়া এখন শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত থাকছেন। বিশেষত দশম শ্রেণী, একাদশ শ্রেণী এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে তাই আমরা নিখরচায় ইলেকট্রনিক টিউটরিং, ইলেকট্রনিক মেন্টরিং, ইলেকট্রনিক কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করেছি। ছাত্রছাত্রীরা চাইলেই https://keical.edu.in লিংক-এ নাম নিবন্ধ করতে পারেন। প্রয়োজন অনুসারে সেখান থেকে তারা শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেন। সংস্থার সেক্রেটারি উমা ভট্টাচার্য্য জানান, প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগও তৈরি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। ছাত্রছাত্রীরা চাইলে নিখরচায় অতিরিক্ত পাঠ্যক্রম অনুশীলন করতে পারে keical.edu.in/compete-for-excellence- লিংকে নাম নিবন্ধ করে। তিনি আরও জানান, এই ধরনের অনুশীলন শিক্ষার্থীদের প্রথাগত চিন্তাভাবনার বাইরেও ভাবতে শেখাবে। তৈরি হবে বিশ্লেষণধর্মী মন।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং মেঘালয় সরকারের কাছে রাজ্যগুলির দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে ক্লাসের সুবিধাগুলি প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কিংস্টন গ্রুপের অ্যাকাডেমিক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর অম্বরনাথ ব্যানার্জী বলেন, বছরের প্রতিটি দিনে, প্রতিটি ক্ষণে শিক্ষাদান থেকে কোভিড ১৯ আমাদের বিরত রাখতে পারবে না।